Devi Pdf Download – দেবী বই রিভিউ
দেবী বই রিভিউ pdf download – দেবী হুমায়ূন আহমেদ full movie and pdf
বই: দেবী
হুমায়ুন আহমেদ
কথা সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদের নিজের এক অন্য পৃথিবী ছিল তার। আর তার পৃথিবীতে রচিত বিখ্যাত উপন্যাস “দেবী” বাংলা সাহিত্যের জন্য অনবদ্য এক উপহার। রহস্যে ঘেরা এই উপন্যাসটি সব পাঠককে নিয়ে যায় অদ্ভুত এক জগৎে। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে পাঠক হারিয়ে যায় মিসির আলীর যুক্তি আর রানুর অতীন্দ্রিয় মায়াজালে।
দেবী’ হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলি বিষয়ক প্রথম উপন্যাস। … রানুর দুঃস্বপ্ন এবং অদ্ভুত আচণের সূত্রধরে তার স্বামী আনিস মিসির আলির শরণাপন্ন হয়। মিসির আলি রানুর গল্প শুনে স্বভাবসুলভ তদন্ত করে যুক্তি দিয়ে রানুর গল্পের ব্যাখ্যা দাঁড় করান। উপন্যাসের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নীলুফার।
“মধ্যরাতে রানু অস্বাভাবিক কিছুর উপস্থিতি টের পায় এবং তার স্বামী আনিসকে ডেকে তোলে। আনিস যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়ে রানুকে শান্ত করার চেষ্টা করে। বিষয়টাতে আনিস ঘাবড়ায় না।কারণ রানুর এমন আচরণ সে আগেও দেখেছে।
রানু অনেক জিনিসই আগে থেকে বলতে পারে। অনেক অজানা জিনিস,যা তার জানার কথা না,তাও সে বলতে পারে। আনিসের মাঝে মাঝে মনে হয় রানু অসুস্থ। কিন্তু তার মন এতে সায় দেয় না।সে সবকিছুরই ব্যাখ্যা সরল মনে করার চেষ্টা করে।
রানুর প্রতিবেশী নীলুও রানুর রহস্যময়তা টের পায়।সে রানুর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। তার আগ্রহের কারণ সে মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী।শিক্ষক মিসির আলির সাথে রানু এ ব্যাপারে কথাও বলে। আনিসও মিসির আলিকে সব খুলে বললে মিসির আলি রানুকে নিয়ে ভাবতে শুরু করে। রানুর অস্বাভাবিকতা ও অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার রহস্য উদঘাটনে মিসির আলি রানুর গ্রামে যায়।
সেখনে মিসির আলি জানতে পারে রানু যখন ছোট ছিল,তখন একটা অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়। সে নদীতে গোসলের সময় কেউ তার পা টেনে ধরে। পরবর্তীতে দেখা যায়,তার পা জড়িয়ে রেখেছে একটা লাশ। তারপর থেকেই রানু এমন।
কিন্তু গ্রামের অনেকেই এ ঘটনার কথা মনে করতে পারে না। সবাই জানায় গ্রামের একজন নিজ লালসার চরিতার্থে ভুলিয়েভালিয়ে একদিন রানুকে বিষ্ণু মন্দিরে নিয়ে যায়। কিন্তু লোকটি ওখান থেকে কিছুপর ভয় পেয়ে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে বিষ্ণু মন্দিরের সাদা মূর্তিটার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে নীলু এক ছেলের সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে যায়।ছেলেটি প্রথমে ভালো ব্যবহার করলেও পরে নীলুকে জোর করে তার গাড়িতে তুলে নিয়ে এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। রানু বুঝতে পারে ঘটনাটি। রানু এসময় অসুস্থ হয়ে পড়ে।জ্বরের ঘোরে কার সাথে যেন কথা বলতে শুরু করে। একসময় রানু মারা যায়।ঠিক সে সময় নীলুরও খবর পাওয়া যায়। নীলুকে জিজ্ঞাসা করলে নীলু বলে,কোনো এক অদৃশ্য শক্তি তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া ছেলেটাকে মেরে ফেলে মিসির আলি ঘটনাটির ব্যাখা দেয়,উত্তেজিত মনের স্বাভাবিক কল্পনা বলে। তবে এরপর থেকে মিসির আলি নীলুর মধ্যে এক অন্যরকম পরিবর্তন দেখতে পায়। তার কাছে মনে হয়,সেদিনের ঘটনার পর থেকে নীলুর চেহারা আর কথা বলার ভঙ্গি যেন একদম রানুর মতো হয়ে গেছে,যা সুপ্তভাবে ইঙ্গিত করে রানুর সাথে থাকা দেবী সত্তাটি এখন নীলুর সাথে রয়ে গেছে।”
চিরকাল এই রহস্য রবে নীরব রুদ্ধ ওষ্ঠাধর জন্মান্তরের নব প্রাতে, সে হয়তো আপনাতে পেয়েছে উত্তর।
রহস্যে ঘেরা এই উপন্যাসটি সব পাঠককে নিয়ে যায় অদ্ভুত এক জগৎে। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে পাঠক হারিয়ে যায় মিসির আলীর যুক্তি আর রানুর অতীন্দ্রিয় মায়াজালে। এই উপন্যাস থেকে নেয়া কিছু উক্তি ,
“তরলমতি মেয়েরা মাঝে মাঝে অদ্ভুত কান্ডকারখানা করে বসে”
“বয়ঃসন্ধির পর মেয়েদের রূপ খুলতে শুরু করে”
“সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যে সব
মানুষের শখ মিটে গেছে, তারা খুব অসুখী মানুষ”
“অপরূপ রূপবতী একটি বালিকার মুখ, যাকে কখনো পুরোপুরি
চেনা যায় না”