ম্যাথোস্কোপ Pdf free Download (Full)

আজকের পোস্টটি আমরা ম্যাথোস্কোপ বইয়ের Pdf free Download ও রিভিউ নিয়ে আলোচনা করব.

নেবুলার থিওরেম  এ অধ্যায়টা শুরু করার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু আমার পক্ষে পাওয়া সম্ভব না। আমি তৃতীয় গণিত ক্যাম্পের একজন ক্যাম্পার ছিলাম। এ ক্যাম্পটা ছিল অসাধারণ, গণিতচর্চার পাশাপাশি শান্তনু, নেবুলা এদের রসবোধ ক্যাম্পটাকে প্রাণবন্ত করে রেখেছিল। এর মধ্যে নেবুলা তো একটা সর্বজনীন গাণিতিক তত্ব আবিচ্ভার করে বসে। এর গভীরতা (1) না বলে বোঝানো সম্ভব না, বলেও বোঝানো সম্ভব না! থিওরেমটা পড়লেই তা বুঝতে পারবেন :  “যেকোন প্রমাণযোগ্য গাণিতিক ততৃই প্রমাণিত ।”  এ কথাটা শুনলে যে কারো মেজাজ চটে যাবে, একটা অধ্যায়ের শুরুতে এসব ছাই-পাশ লেখার কোন মানে হয়? (আসলেই হয় না) তবে নেবুলার এ তত্তুটার একটা প্রমাণ সে নিজেই দিয়েছে, আগে সেটুকু শুনে নিন :  যেসব গাণিতিক তত্বের প্রমাণ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এ সকল তত্বের সমন্বয়ের মাধ্যমে যেসকব তত্ব প্রমাণ হয়েছে বা হতে রা ভ্রমাণিত। হয় নি, কিন্তু তারা প্রমাণযোগ্য, তাদের প্রমাণযোগ্যতার সূত্র ধরেই তাদের কোন ন প্রমাণ উপস্থিত । অতএব তারাও প্রমাণিত ।

নেবুলার তত্বের সবচেয়ে বড় সমস্যাটা বোথায়? সমস্যাটা হল : এ তত্বের প্রামাণ্য (যে বক্তব্যটিকে প্রমাণ করতে হবে) ও স্বীকার্য (যে বক্তব্যটি সত্য বলে আমরা জানি কিংবা ধরে নিয়েছি) আসলে অভিন্ন । অনেকটা লক্ষ করুন নেবুলার তত্তের ‘প্রমাণযোগ্য’ শব্দটার দিকে । কীভাবে বুঝবেন যে একটা তত্ত্ব প্রমাণযোগ্য? এটা তখনই প্রমাণিত হবে যদি আমরা জানি যে এ তত্তুটার একটা প্রমাণ আছে। কিন্তু কোন গাণিতিক তত্বের প্রমাণ আছে কিনা তা যদি আমরা আগে থেকেই জেনে ফেলি তাহলে তো আর প্রমাণ করার কিছু রইল না। নেবুলার এই ‘হস্ত-পদ-মস্তকবিহীন’ প্রমাণের ধাপগুলো লক্ষ করুন, দেখবেন যে প্রমাণিত শব্দটিকে ‘প্রমাণ আছে’ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। অর্থাৎ, তত্তুটার স্থীকার্য ও সিদ্ধান্ত আসলে অভিন্ন হয়ে গেছে।  গণিত বা যুক্তিশান্ত্রে এ ধরনের সমস্যাকে বলা হয় ভ্রান্তি। এর সংজ্ঞায়নে সাধারণভাবে বলা যেতে পারে__-কোন যৌক্তিক বিশ্লেষণে যখন কোন অসত্য/অর্ধসত্য/ ছন্মবেশী/বিকৃত/অতিরপ্রিত যুক্তি উপস্থাপন করে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন এ সিদ্ধান্ত টিকে ভ্রান্তি বলা হয়।

ম্যাথোস্কোপ – mathoscope Pdf free Download link – Pdf Download link