পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং বই Pdf Download (Full)
personal branding in bangla
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কি?
ক্যাটাগরি: সেলস এন্ড মার্কেটিং বই
মার্কেটিং বিষয়ক বই
book | পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং |
Author | মো. তাজদীন হাসান |
Publisher | অদম্য প্রকাশ |
file | pdf – পিডিএফ ডাউনলোড |
ISBN | 9789849532132 |
Edition | 1st Published, 2021 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
- Publisher: অদম্য প্রকাশ
- Category: ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং ও সেলিং
📗বই:- পার্সোনাল ব্রান্ডিং
✒️লেখক:- মো: তাজদীন হাসান,মো: সোহান হায়দার,রাফিদ এলাহি চৌধুরী
♎জনরা:- ব্রান্ডিং,মার্কেটিং ও সেলিং
♎প্রকাশনা:- অদম্য প্রকাশ
♎রিভিউ করছি:- হিমাদ্রি শর্মা
রিভিউ:
“21st Century তে থাকুন TOP OF THE MIND”— বইয়ের এই ট্যাগ লাইনটি আসলে পাঠককে মেসেজ দেয় বইয়ে পাঠকের জন্যে কী ধরনের বার্তা দেওয়া রয়েছে। বর্তমান কর্পোরেট দুনিয়ায় নিজের ব্রান্ড ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই পার্সোনাল ব্রান্ডিং জিনিসটা কী? এটা কিভাবেই বা করে মানুষ? অনেকটা শো-অফের মতো শুনাচ্ছে না? তবে কী শো-অফের অন্য নাম পার্সোনাল ব্রান্ডিং? এতো-এতো প্রশ্ন যখন আপনার শান্তির ঘুম কেড়ে নিচ্ছে, তখন আমি আপনাদেরকে এমন একটি বইয়ের কথা বলতে চলেছি যা কিনা আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর হিসেবে ধরা দিবে আপনার নিকট। অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় বইয়ের প্রতিটি কন্টেন্ট লিখা হয়েছে। কাজেই বুঝে নিতে পাঠকের বেগ পাবার কথা না।
কাদের জন্যে এই বইটি?
১) যারা ক্যারিয়ারে উন্নতি চান
২) যারা শিক্ষাজীবন শেষে চাকরির জন্য এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চান
৩) যারা উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান
৪) যারা নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে চাকরির পাশাপাশি কিছু আয় করতে চান
৫) যারা Influencer হতে চান
৬) যারা strong professional network গড়ে তুলতে চান
বইটি খুললেই আপনি এর ভেতরের ডিজাইন দক্ষতায় মুগ্ধ হবেন। কী সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রতিটি কন্টেন্ট! তাছাড়া বইয়ের ভিতরের লে-আউট আমার কাছে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। প্রতিটি পৃষ্ঠায় কালার কম্বিনেশনও জোস ছিল। পড়তে গিয়ে উপভোগ করেছি পুরোটা সময়জুড়ে।
বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ পার্সোনাল ব্রান্ডিং নিয়ে কিছুটা যেন কনফিউজড। শো-অফ বা নিজেই নিজের বড়াই করাটাকেই এরা ধরে নেয় বুঝি পার্সোনাল ব্রান্ডিং। এই দু’য়ের মধ্যে যে ফারাক বিদ্যমান, সেটা তারা বুঝতে চায় না। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই পার্সোনাল ব্রান্ডিং থেকে তারা নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে। একই সাথে আশেপাশে যারা নিজেদের পার্সোনাল ব্রান্ডিং করছে প্রতিনিয়ত, তাদের কমেন্ট সেকশন জুড়ে দেখা যায় সেসব লোকের যাচ্ছেতাই মন্তব্য। সেই সকল মানুষদের জন্যেই বিশেষত এই “পার্সোনাল ব্রান্ডিং” বইটি। কিভাবে আপনি আপনার নিজের ব্রান্ডিং করে নিজের একটা শক্ত পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করে নিতে পারেন, তারই কিছু গাইডলাইন দিবে এই বইটি।
ধরেই নিলাম, আপনি পার্সোনাল ব্রান্ডিং বুঝে ফেলেছেন। তবে এই “Top Of The Mind” জিনিসটা কী? এই যে পার্সোনাল ব্রান্ডিং সম্পর্কে জানার জন্য আপনি বিশেষভাবে এই বইটির রেফারেন্স পেয়েছেন আশপাশের সবার কাছ থেকে, তারমানে এই বইটি এখন Top Of The Mind এ আছে। তা না হলে এত বই থাকতে এই বইটির কথাই কেন সবাই আপনাকে বলবে? এই রকম যদি আপনিও চান নিজের নাম কিংবা নিজের কোনো প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিস মানুষের কাছে Top Of The Mind এ থাকুক, তবে অবশ্যই আপনার, আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিসের ব্রান্ডিংটা জরুরি। সেই ব্রান্ডিংটা কী প্রসেসে হতে পারে, সেটাই বাতলে দেওয়া হয়েছে বইটিতে।
বইটিতে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে কিভাবে আপনি অনলাইনে সেলফ ব্রান্ডিং করতে পারেন। যেহেতু যুগটা ডিজিটাল, কাজেই অনলাইন কেন্দ্রিক সব জায়গা কিভাবে নিজের ব্রান্ডিং করবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এখানে। তবে যাদের ইচ্ছে আছে এটা জানার যে, কিভাবে অনলাইন ব্রান্ডিং এর পাশাপাশি অফলাইনেও নিজের ব্রান্ডিং করা যায়, তারা কী তবে এই বইটি পড়ে হতাশ হবে? মোটেই না! তাদের কথাও মাথায় রেখে এখানে বেশ কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে, যেগুলো এপ্লাই করার মধ্যে দিয়ে যে কেউ অফলাইনে নিজেদের ব্রান্ডিং করতে পারবে।
বইটিতে পার্সোনাল ব্রান্ডিং অংশে Why, What, How এ তিনটি ধাপে আলোচনা করা হয়েছে, কাজেই এই তিনটি ধাপ পড়া শেষে পার্সোনাল ব্রান্ডিং নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা থাকার কথা না কিন্তু।
পার্সোনাল ব্রান্ডিং যে শুধু Young Professionals দের জন্যে না, স্টুডেন্টদের জন্যেও সমানতালে গুরুত্ব রয়েছে, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে দারুণ কিছু পরামর্শ। এই অংশটিতে কিভাবে নিজেদের ফলোয়ার বাড়ানো যায়, সেই সম্পর্কে রয়েছে ১৩টি অসাধারণ টিপস।
বইটিতে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মটি আপনি কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন সেলফ ব্রান্ডিং এর জন্য। কন্টেন্ট কি রকম হতে পারে, সেটার থিম কেমন হতে পারে, সেটার রিচ কিভাবে বৃদ্ধি করানো সম্ভব ; সেই সম্পর্কে বেশ কিছু গাইডলাইন শেয়ার করা হয়েছে এখানে।
“পার্সোনাল ব্রান্ডিং” বইয়ের অন্যতম যে অংশ মনে হয়েছে আমার কাছে সেটা হলো বাংলাদেশী পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর কিছু শর্ট কেস স্টাডি। কয়েকজনের নাম যদি আমি আপনাদেরকে বলি—
‘আইসিটি বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সোনিয়া বশির কবির, গ্রামীণফোনের সর্বপ্রথম বাংলাদেশী CEO ইয়াসির আজমান, বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ CEO মমিন উল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, তাহসান খান, আয়মান সাদিক, জাহিদ সবুর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। তারা কিভাবে নিজেরা নিজেদের ব্রান্ডিং করে ক্যারিয়ারে সফল হয়েছেন সেসব কথা তুলে ধরা হয়েছে বইয়ে।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে যারা পার্সোনাল ব্রান্ডিং করে পৌঁছে গিয়েছেন পুরো দেশের মানুষের Top Of The Mind এ, সে রকম কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সারদের (Thoughts Of Shams, কিটো ভাই, রাফসাদ দ্য ছোটভাই) পার্সোনাল ব্রান্ডিং সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন এই বইয়ের মাধ্যমে।
পার্সোনাল ব্রান্ডিং অনেকটা নিজের ঢোল নিজে পিঠানো টাইপের। আপনি যদি আপনার ব্রান্ডিং না করেন, তবে অন্য কেউ এসে আপনার ব্রান্ডিং করে দিয়ে যাবে না।
পার্সোনাল ব্রান্ডিং করুণ আর নিজেই হয়ে যান শক্তিশালী এক ব্রান্ড!
পড়তে আপনাকে হবেই,হয় বই নয়তো পিছিয়ে!
#happyreading ❣️